কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্যবাধকতার কারণে এবার যশোরে ৭১৯ জন ভারতফেরত বাংলাদেশির ঈদ কাটছে হোটেলে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঈদের দিন তাদের জন্য সেমাই, পোলাও ও মাংসসহ উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এর আগে এর আগে, ঈদুল ফিতরেও যশোরের হোটেলে ঈদ কাটিয়েছিলেন ভারতফেরত ৬২২ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী। জানা যায়, করোনা প্রাদুর্ভাবে সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে বিশেষ অনুমতি নিয়ে ২৬ এপ্রিল থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেন আটকে পড়া বাংলাদেশিরা। দেশে ফেরার পর সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধির অংশ হিসেবে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে তাদের হোটেলগুলোতে অবস্থান করতে হচ্ছে।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, ভারতফেরত যশোর শহরের বিভিন্ন হোটেল ও পিটিআইতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে অবস্থানরত ২৫০ জনের জন্য ঈদের দিন সকাল এবং দুপুরে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় উন্নতমানের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। অতিথিদের সকালে পরটা, ভাজি, ডিম এবং সেমাই বিতরণ করা হয়। দুপুরের খাবারের তালিকায় থাকছে পোলাও, মুরগির রোস্ট, খাসির মাংস, মুগডাল ও সালাদ। তিনি আরও জানান, ভারত থেকে ফেরত ৪০০ যাত্রী বেনাপোলের বিভিন্ন হোটেলে ঈদ করবেন। শার্শার সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদের সকালে খাবার সরবরাহ করবেন। তার পক্ষ থেকে সকালে খিচুড়ি, মুরগি ও ডিমভুনা দেয়া হয়। দুপুরে খাবার সরবরাহ করবেন পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। তিনি যাত্রীদের জন্য চিকন চালের সাদা ভাত, ডিম, খাসির মাংস, বুটের ডাল দিয়ে খাসির চর্বির ব্যবস্থা করবেন। রাতে হোটেল মালিকরা বিনামূল্যে খাওয়াবেন। কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, এছাড়া ঝিকরগাছার গাজীর দরগাহে এ মুহূর্তে ভারতফেরত ৬৯ জন অবস্থান করছেন। এছাড়া সেখানে ১৩ জন সাপোর্টিং স্টাফও রয়েছেন।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদেরকে বুধবার উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। ঈদের সকালে খিচুড়ি, মুরগির মাংস ও সেমাই দেয়া হয়। এছাড়াও তাদের জন্য দুপুরে খাবারে পোলাও, মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালা, সালাদ, মিষ্টি দই থাকছে।